গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে কাতারে হামাসের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে ইসরায়েল। শনিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে আলোচনার মাঝেও গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার ভোরে আল-গোউলা পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১১ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে সাতটি শিশু রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় হামলায় আহতদের উদ্ধার কাজ চলছে, ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ জানান, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই বিষয়ে একটি প্রতিনিধিদল কাতারে গিয়েছে। বর্তমানে গাজায় ৯৬ জন ইসরায়েলি নাগরিক জিম্মি রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ১,২০০ জন নিহত হন এবং আড়াই শ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর থেকেই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়, যা এখনো অব্যাহত।
সম্প্রতি হামাসের সশস্ত্র শাখা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে ১৯ বছর বয়সী ইসরায়েলি সেনাসদস্য লিরি আলবাগ ইসরায়েলি সরকারের কাছে তাঁর মুক্তি নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন। ভিডিওটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
গাজায় ১৫ মাস ধরে চলমান এই সংঘাতের মধ্যে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো এ আলোচনা থেকে কোনো কার্যকর সমাধান পাওয়া যায়নি।